উপন্যাস (পর্ব ১) ‘রাহুযৈবন’ বর্তমান সমস্যাসংকুল সময়ের সেই গল্প, যা জীবনকে বাউল ফকিরদের মারফতি চোখ দিয়ে দেখতে দেখতে কালের ভেলায় চেপে চলেছে অনিশ্চিত গন্তব্যে। এখানে ক্ষমতার লড়াই, আধ্যাত্মিকতা, ভণ্ডামি, বিশ্বাস আর বিশ্বাসঘাতকতা যেন পরস্পরের মুখোমুখি। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ছোট্ট জনপদকে ঘিরে এই আখ্যান আবর্তিত হলেও আসলে এ দেশের দুঃখজনক সামগ্রিক চিত্র। নিন্মবর্গের মানুষের এই গল্প
লাল্লা দেদ এই দুই সংস্কৃতির মধ্যে এক সেতুবন্ধন তৈরি করেছিলেন, তাঁর কবিতায় হিন্দু দর্শন ও সুফিবাদের এক অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়। চতুর্দশ শতাব্দীর কাশ্মীরে লাল্লা দেদ (১৩২০-১৩৯২) ছিলেন এক বিখ্যাত মরমিয়া সাধিকা, কবি ও যোগিনী। তিনি লাল্লেশ্বরী বা লাল্লা যোগেশ্বরী নামেও পরিচিত ছিলেন। নারীত্ব, ধর্ম ও আত্মসাধনার সংমিশ্রণে তিনি এক নতুন দর্শনের বীজ বপন করেছিলেন।
তীরন্দাজ ভ্রমণ ধূসরে শুভ্রতা মেশানো পাথরের পাহাড় থেকে সাবধানে গাড়িটি নামিয়ে আনি এসপানিওলা শহরে। অনেকদিন পর যুক্তরাষ্ট্রে ড্রাইভ করছি, তাই একাধিক সড়কের ক্রসরোডে হিসাব-কিতাব করে ট্র্যাফিক লাইটের লোহিত আভা সবুজে বিবর্তিত হতেই মোড় ফিরে ঢুকে পড়ি লস আলামস হাইওয়েতে। আমার পাশের সিটে বসে মিস রুবারটা ত্যালমস মানচিত্র ঘেঁটে আমাকে নেভিগেশনে মদত দেন। এক জামানায় আমি
তীরন্দাজ গদ্য পর্ব ১ আমেরিকার বর্তমান সংকট ও অভিবাসন প্রশ্ন আমরা সবাই পৃথিবী নামের এক মহাকাশযানের নাবিক। এই মহাকাশযান স্থান ও কালে ঊর্ধ্বশ্বাসে চলেছে মহাবিশ্বের কোনো এক অজানা প্রান্তের উদ্দেশে। কিন্তু এই জাহাজের সোয়ারিরা একে অপরকে চেনে না, বা চিনতে চায় না, অথচ মহাকাশযাত্রার জ্ঞান তাদের মধ্যে সঞ্চার করতে পারত এমন এক ধরনের একাত্মবোধ –
আশীষ লাহিড়ীর বই আমি অনেকদিন ধরে পড়ছি, তাঁকে অনুসরণ করছি। নিয়মিত অনুসন্ধান শুরু হয় জে ডি বার্নালের ‘ইতিহাসে বিজ্ঞান’ নামের বৃহৎ গ্রন্থখানির অনুবাদ থেকে। বার্নালের বইটার প্রথম খণ্ড আমি ইংরেজিতে আগেই পড়েছি। কিন্তু হঠাৎ চোখ আটকে গেল এর একটি সুবৃহৎ একক খণ্ডের বাংলা অনুবাদ দেখে। বার্নালের দর্শনাশ্রয়ী বিজ্ঞানের পূর্বাপর ঐতিহাসিক বিবরণ পাঠককে চমৎকৃত করে। তিনি
তীরন্দাজ ছোটগল্প পৃথিবীর কোথায় কোনখানে কি ঘটছে তাতে আমার কি? খুন, জখম, ধর্ষণ, হাসি, বেদনা, ভালোবাসা, প্রার্থনা, অপেক্ষা, আগ্রাসন, ধ্বংস কতকিছুই তো হচ্ছে নিয়ত। তাতে আমি এত উদ্বিগ্ন হবো কেন! কে কলঙ্কিত হলো আর কে পুরষ্কৃত, কে পতিত অথবা কার উত্থান; তাতে আমি কি করবো? কারা ক্ষণ গুণছে মৃত্যুর আর কারা উজ্জীবিত, কাদের কাদের কোন
তীরন্দাজ কবিতা এই ঘ্রাণ তুমি পাও, আমিও তো পাই —যৌথ কবরের মাঝে সম্পর্কের ছাইওড়ে আর উড়ে যায়, ধরতে কী পারি? প্রিয় কুটুমের মতো প্রিয় কুটুমের মতো, কোন কোনদিন দুঃখ আসে।ঝরা পাতাদের মতো উড়ে আসে উদ্বাস্তু বাতাসেযখন সংসারী আমি, গুছিয়ে নিয়েছি সবকিছু —চাঁদ দেখে সাজি অন্ধ, করে থাকি মাথা আরও নিচুবিছানায় শুয়ে শুয়ে করি ঘুমায়ে থাকার
তীরন্দাজ কবিতা ১চাঁদ এ জন্য সুন্দর যেসে সব সময় সর্বহারাররাত্রিকালীন প্রদীপ সব সময় সেআলো দেয় অন্ধকারে নিঃসঙ্গ কুপির মতোরাতভরআর কেউ জ্বলে না চাঁদ কখনও তবু বলে নাতার কোনো আলো নেই বরং ঘুমিয়ে পড়লেভিক্ষুক কিংবা টোকাই তাদের ময়লা গায়েইসারাক্ষণ সর পড়তে থাকেকোমল জোছনার ২. টোকাই ও ভিক্ষুকের বাতি চাঁদ অন্ধকার আকাশেজ্বলে আর জ্বলে কেউ তাকে জ্বালে
মরমীকাব্য সন্ত জ্ঞানেশ্বর (Jnaneshwar) মহারাষ্ট্রের ভক্তি আন্দোলনের একজন প্রধান সাধক, দার্শনিক ও কবি। তিনি জ্ঞানদেব নামেও পরিচিত। ত্রয়োদশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব তিনি। মারাঠি ভাষায় তিনিই ভক্তি সাহিত্য ও আধ্যাত্মিক চিন্তাধারার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। তাঁর জীবন, দর্শন, সাধনা ও কবিতা মারাঠি সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তাঁর রচিত ‘জ্ঞানেশ্বরী’ (ভগবদ্গীতার মারাঠি টীকা) ও
তীরন্দাজ সাক্ষাৎকার বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, সমাজচিন্তক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকার। ‘পাকিস্তানের জন্মমৃত্যু দর্শন’সহ অসংখ্য বইয়ের জন্যে তিনি পাঠকনন্দিত। শিল্প-সাহিত্যের অন্তর্জাল তীরন্দাজের পক্ষ থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে লেখকের সঙ্গে একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার গ্রহণের ব্যাপারে যোগাযোগ করি। বার্ধক্য ও ভীষণ অসুস্থতার মধ্যেও লেখক সাক্ষাৎকার প্রদানে সম্মতি দেন। দশ দিন পর ৬ জানুয়ারি ২০২১ থেকে দীর্ঘ
