বাংলা কথাসাহিত্যে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এক অবিস্মরণীয় নাম। বাংলা সাহিত্যের বৃহত্তর পরিসরে তিনি কোনো যুগান্তর ঘটাননি। তবে র্যা ডক্লিফ অঙ্কিত পূর্ববাংলার সাহিত্যিক মানচিত্রে তাঁর ভূমিকা যুগপ্রবর্তকের। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে এই ভূখণ্ডের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী, আধা-সামন্ত বাঁধনে আবদ্ধ গ্রামীণ মুসলমান সমাজের জীবনযাত্রা উপস্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস লিখেছেন আবুল ফজল, আবু জাফর শামসুদ্দীন, শওকত ওসমান, শহীদুল্লা কায়সার, আবু ইসহাকের মতো
৬ই ডিসেম্বার ১৯৭১। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র, আকাশবাণী, অল ইন্ডিয়া রেডিও থেকে পাকিস্থানি বাহিনীর উদ্দেশ্যে মুহূর্মুহু প্রচারিত হয় মিত্রবাহিনীর চূড়ান্ত ঘোষণা – ম্যায় তোমহারা চারো তরফ সে ঘিরচুকা। হাতিয়ার ডাল দো। ঢাকার পতন আসন্ন জেনে সবাই পালাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে মুক্তাঞ্চলে। আমরাও পালাচ্ছি দাউদকান্দির উদ্দেশ্যে। ওখানে মুক্তিযোদ্ধাদের আর্মস ক্যাম্পে আমাদের শেল্টার। বুড়িগঙ্গার জলে পাকবাহিনী মাইন পেতে
উপন্যাসের স্থান : আমেরিকা।ঘটনাকাল : সিভিল ওয়ার (১৮৬১-১৮৬৫) পরবর্তীকালআমেরিকার সবচেয়ে জঘন্য প্রথাটি ছিল দাসপ্রথা। কালোদের ওপর যে নির্য়াতন চালানো হয়েছে, মানব ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় ছিল সেটি। এই দাসত্বপ্রথা আরও চলবে কি না, সিভিল ওয়ার বা গৃহযুদ্ধটা ছিল তাই নিয়ে। কিন্তু একসময় এই যুদ্ধ শেষ হলো। কালোরা মুক্ত হলো। এরপর কালোরা কীভাবে তাদের অধিকার পেল,
হিন্দি থেকে অনূদিত আমি, সেই সমুদ্রে প্রথমবার ডুব দিলাম। সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গগুলি আমাকে হাত তুলে তুলে বারবার নিজের কাছে ডাকছিল। ওদের সম্মোহনশক্তি ভয়ঙ্কর! আমি চারদিকে চোখ তুলে তাকালাম। কোথাও এমন কিছুই নেই, যা আমার পা দুটোকে শিকলে জড়িয়ে আমাকে আটকে রাখে। দূরে, বহু দূরে দুই চোখে তাকিয়ে দেখলাম। শুধু রোদেপোড়া পাষাণ, যাদের ফাঁক-ফোকরের নিচু জায়গাগুলোতে
নিচের লেখাগুলি ক্লিক করে পড়ুন
আমার মুখের দুঃখ চিহ্নগুলি সন্ধ্যার বালিতেবেঢপ উটের ক্লান্ত পদরেখা যেন, পশুশ্রমজেনেও তোয়ালে দিয়ে ক্রমাগত ঘষে ঘষে মুছেফেলতে চেয়েছি রোজ সেসব অমোঘ রেখাবলী। স্পষ্টতই নেই গৌরচন্দ্রিকা কিছুই এ গল্পের,তবু বলা সমীচীন—নিজেকে শরৎ চাটুজ্যেরউদ্ভ্রান্ত নায়ক ভেবে নিষ্কলুষ পতিতার প্রেমেনাকানি চুবানি আমি খাইনি কখনো ইতস্তত। প্রত্যহ ক্লাউন সেছে নিজেকে দেখাই কঠিনসব খেলা ঝুঁকি নিয়ে; কাঁদি কিংবা হেসে হই
রুপি কৌর একজন কবি, শিল্পী। একুশ বছর বয়সে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে লেখা শুরু করেন, ছবি আঁকছেন এবং “মিল্ক অ্যান্ড হানি” নামে নিজের কবিতার বই নিজে প্রকাশ করেছেন। এর পর “দ্যা সান অ্যান্ড হার ফ্লাওয়ারস” প্রথম বইয়ের পরের পর্বের মতো আসে আর প্রশংসিত হয়। এই বই দুটি আট মিলিয়নের বেশি কপি বিক্রি হয়েছে আর চল্লিশটির
ভোরের আলো ভালোমতো না ফুটতে নিশিমন ঘরে তার সদ্য মৃত স্বামীর লাশ রেখে নবাবি নৌকা ভাসিয়েছে পাথারের জলে। সেই কবে ছোট্ট বেলায় নৌকা চালিয়েছিল শখ করে, তারপর আর কখনো হাল ধরা হয়নি। আজ এই আলো আঁধারে চোখে নোনতা জলের দাগ থাকতে থাকতে অপটু হাতে আবার নৌকার হাল ধরেছে। আকাশে আবছা গাঢ় নীলের আভাস থাকলেও পাথারের
শেষ দফার মালামালও চলে গেছে। ভাড়াটে যুবকটি, যার হ্যাটটিতে শোকের চিহ্ন, ঘুরে ঘুরে আবারো দেখছে কিছু ভুলে গেছে কিনা। না, কিছু সে ভোলেনি, একেবারেই না। সে বের হয় হলটিতে, নিজের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যা কিছু তার সাথে ঘটেছে এই বাসায়, তা নিয়ে সে আর ভাববে না। কিন্তু দেখো, হলঘরে টেলিফোনের পাশে একটা অর্ধেক কাগজ আটকানো আর
পর্ব ৬ উপন্যাসের স্থান : আমেরিকা।ঘটনাকাল : সিভিল ওয়ার (১৮৬১-১৮৬৫) পরবর্তীকালআমেরিকার সবচেয়ে জঘন্য প্রথাটি ছিল দাসপ্রথা। কালোদের ওপর যে নির্য়াতন চালানো হয়েছে, মানব ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় ছিল সেটি। এই দাসত্বপ্রথা আরও চলবে কি না, সিভিল ওয়ার বা গৃহযুদ্ধটা ছিল তাই নিয়ে। কিন্তু একসময় এই যুদ্ধ শেষ হলো। কালোরা মুক্ত হলো। এরপর কালোরা কীভাবে তাদের
