কবিতা

লালন নূর | তিনটি কবিতা | তীরন্দাজ কবিতা

বায়ু ও জলের ভাষা অনুবাদ করি। মধু ও মৌমাছি নিয়ে বিরচিত এই আকাশকুসুম। চাঁদের অমাবশ্যায় লিখে রাখি অসহায় হাবুডুবু। ডানাকাটা জঙ্গলের কাগজের ছায়া নিয়ে তামাশা বাজাই। বায়ু ও জলের বদলে তোমাকে গণ্য করি অমেয় মধুর শিশি। ঘরে পড়ে আছে দোকান থেকে কিনে আনা অম্ল-মধুর রোদ। বোতলের দিকে তাকিয়ে নাচতে থাকি অপলক। গিটঠু দিতে গিয়ে ছিঁড়ে ফেলি রশির স্বভাব, ভাষান্তরের কায়মনোবাক্য! তোমাকে অনুবাদ করতে গিয়ে বরফকলে আটকে গেছি। ভাঙাচোরা হাসির কুঠারে লিখে রাখি কত সহজ ভ্রমণ!

জন্মবোবার ভাষা বুকে নিয়ে ছাপাখানার মৌমাছি হয়ে আছি – আমাকে লিখে রাখো ভাইরাল সমবায়!

দুলফি ফুলের মধু লিখে রাখে লবণের বর্ণমালা!

তীর্থ ও তীরের ধারে উলুধ্বনি বাজে। সহজ শিথান আর ঘুমন্ত পৈথানে জাগে ভ্রান্তির ধনুক। তাতেই চিনেছে ধাত্রী সোনা ও রূপার কাঠি। তোমাকে বোঝার দায় মৃদু দোল খায় কদমের ফুলে। যথাবিহিত প্রার্থনা নিয়ে বর্ষাকাল হয়ে ফুটে থাকার ছলনা করি। এতটা শিমুল ছিলো সম্ভাবনাময় পতনে! ক্ষুধার ধারণা নিয়ে তবু জেগে আছে কলা আর বনরুটি। বস্তুত কালক্ষেপণ হলো ন্যায় বিচারের বালুঘড়ি – অবিশ্বাসের ব্যান্ড-এইড।

আসলে যাওয়া বলে কিছু নাই – থাকা ও না থাকার মাঝখানে ধাবমান তীরের ফলায় সবাই সেবিকা।

ধারণ করেছি বলে তুমিও ধনুক।

উড়ন্ত পাখির বাহানা হয়ে পাশে বসে আছে গূঢ় বিরামচিহ্ন। ভেসে থাকা ডানা থেকে উঁকি দিচ্ছে পলাতক চোরের গোপন কৌশল। তাকেই শুয়ে-বসে প্রশংসা করি আজ। তোমাকে আঁকতে গিয়ে লিখে ফেলি ঘুড়ি! আকাশে ঘুড়ি উড়িয়ে বসে আছি ভূগোল পাঠের পৃথিবীতে।

নির্জন রাস্তার পাশে পিঁপড়াদের উচিত শিক্ষা দিয়ে লাইন ধরে হেঁটে যাচ্ছে বস্ত্রবালিকাদের দুঃখমিশ্রিত রাজনৈতিক মুখ।

আমি তাদের সেলাই বিষয়ে জ্ঞান দিতে গিয়ে অর্থনীতির ঝরাপাতা হয়ে উড়ে যাচ্ছি একা – ভস্ম ও ভগবান।

    Leave feedback about this

    • Rating

    PROS

    +
    Add Field

    CONS

    +
    Add Field