শিল্পকলা গদ্য

মইনুদ্দিন খালেদ | রেখাচিত্রে শিল্পিত যাপন | শিল্পকলা | ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান

ছবি আঁকার হাতেখড়ি রেখার সঙ্গে একা চলায়। বিচিত্র বিপুল বস্তুরাশি রূপায়ণের পরীক্ষা দিতে হয় রেখানির্ভর চিত্ররচনার সূচনায়। সত্তরের দশকের শুরুর দিকে হামিদুজ্জামান ঢাকা আর্ট কলেজে ভর্তি হন চিত্রবিদ্যায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাদীক্ষা লাভের জন্য। সেই কলেজ এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। এই প্রতিষ্ঠানে তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনসহ আরও অনেক গুরুশিল্পীর কাছ থেকে দীক্ষা লাভ করেন। এ প্রতিষ্ঠানে তিনি সুদীর্ঘ কাল শিক্ষকতা করেছেন ভাস্কর্য বিভাগে। শিল্পীর মনভুবনের মানচিত্র ঘনিষ্ঠভাবে পাঠ না করলে কারও কীর্তির অন্তর্নিহিত রসধারার স্বাদ নেওয়া সম্ভব নয়। কেননা প্রতিটি মনের সৃজন-নদীর জলধারা একই রকম তৃপ্তিকর নয়। প্রতিটির আছে স্বতন্ত্র গুণ।
রেলপথে হামিদুজ্জামানের ঠিকানা গচিহাটা স্টেশন। এই স্টেশন থেকে অদূরে ভৈরব। এই বাংলাদেশের মা যে নদী, যে কারণে বলা হয় ‘নদীমাতৃক’ বাংলাদেশ, তা অনুভবের যেকটি প্রধান ভরকেন্দ্র আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য এই ভৈরব অঞ্চল। এখানে নদী ব্যস্ত, এখানে নদ-নদীর সঙ্গে সখা-সখীর সম্পর্ক। নদী, উপনদী, শাখা নদীর জলধারা এখানে বাংলাদেশের সভ্যতার কীর্তন গায় অবিরাম। এ কথা আয়ত করে বলার কারণ এই যে, বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্যচর্চার পথিকৃৎ ভাস্কর হামিদুজ্জামান খানের আঁতুড়ঘর নদীপারে। হাজার নদীর দেশে আমরা শিল্পীজীবনী লাভ করি নদীপারে, জলধারায় ও তার পাশের নিসর্গের রূপের নিত্যপরিবর্তনশীল নিসর্গ-রূপ পাঠ করে। শুধু হামিদ নন, জলধারার পাশে শিল্পী হিসেবে ভূমিষ্ঠ হয়েছেন বাংলাদেশের অনেক প্রধান শিল্পীর। তাই আমাদের শিল্পীদের সৃজনশীলতার স্বর্ণালি জাগরণ জলরংয়ের ছবিতে। এ দেশে জয়নুল আবেদিন থেকে শুরু করে আজ অবধি যে তরুণেরা জলরঙে চিত্ররচনা করে চলেছেন, তাঁরা সবাই নদী-মায়ের জলের কাছে ঋণী। এত জলের দেশ আর কোথাও নেই এ পৃথিবীতে। মিসরের নীল নদ বা ভিয়েতনামের মেক-কোথাও ব-দ্বীপীয় দেশের নদীরা এত সুরে এত কথা বলে না। তাই বাংলাদেশের শিল্পীদের মেধাবী সৃজনের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অধ্যায় জলরংয়ে আঁকা ছবি।

জল দিয়ে জলের স্বভাবকে বোঝা-এই তো জলরংয়ের চিত্রসাধনার মর্মকথা। আর জল তো শুধু জলধারায় নয়, এ দেশে বাতাসেও রাশি রাশি জলের কণা। তাই আর্দ্র বাতাবরণে সিক্ত এ দেশের মানুষের মন। জলে নয় শুধু, বাতাসের তরঙ্গেও অনুভূত হয় অর্দ্রেতার স্পর্শ। আর সেই জলের স্পর্শ তাই থেকে যায় চিত্রপটের জমিনজুড়ে। জলরং অথবা জলের মতো সচল কালির কলমে যখন শিল্পী ছবি আঁকেন নদীর বা নদীপ্রধান স্থলভাগের, সেসব ছবির দিগন্ত-উত্তীর্ণ মুক্ত আকাশি স্পেসেও থাকে জলের আভাস। শুধু ল্যান্ডস্কেপ নয়, জলের স্পর্শে বিশেষ অভিব্যক্তি পায় মানুষের অবয়বসহ সকল অনুষঙ্গে।

হামিদুজ্জামান খান জলসচল কলমে প্রচুর ছবি এঁকেছেন। জলের সঙ্গে তাঁর নাড়ির যোগ। অন্য শিক্ষা উপেক্ষা করে তিনি আর্ট কলেজে ভর্তি হয়েছেন। শৈশব থেকেই ছবি আঁকার যে দূরপনেয় প্রেরণা পায় মানুষ, তার কারণ রহস্যাবৃত। হয়তো তা থাকে রক্তবীজে, হয়তোবা কোনো নাক্ষত্রিক প্রভাব রয়ে গেছে সেই সব মনে।

ভাস্কর হিসেবে পরিচয়টা সর্বত্র সম্প্রচারিত হলেও হামিদ কখনোই চিত্ররচনা থেকে বিচ্ছিন্ন রাখেননি নিজেকে। চারুশিল্পের একনিষ্ঠ দর্শক ও গবেষকরা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন যে হামিদুজ্জামান খান নামে দেশে ও বিদেশে খ্যাতিমান এই ভাস্কর তাঁর সময়ের অন্য চিত্রকরদের মতোই জলরঙে ও রেখাপ্রধান শিল্পরচনায় সমভাবে পারদর্শী। হামিদ জলরঙের শিল্পীদের সঙ্গে প্রথম সারিতে অবস্থান করছেন। ভাস্কর্য নির্মাণ ও চিত্ররচনায় সমভাবে পারদর্শী এমন শিল্পীর দৃষ্টান্ত ইতিহাসে সুপ্রচুর না হলেও বেশ কয়েকজন আছেন। তালিকা বিস্তৃত না করে আমরা স্মরণ করি দুটি নাম : মাইকেলেঞ্জেলো ও রদ্যাঁ। এই দুই শিল্পী প্রচুর গড়েছেন, এঁকেছেনও ছবি, পরিমাণে বিপুল। ভাস্করদের ভাস্কর্য গড়ার আগে ত্রিমাত্রিকতার সূত্রে স্কেচ করে বিষয় বুঝতে হয়। রেখা ও গড়নে এ ছাড়া ‘মাকেট’ বা ছোট একটা ভাস্কর্যসুলভ সংস্করণ তৈরি করে অনুমান করে নেন কীভাবে তা থেকে জন্ম নেবে বিশাল মনুমেন্ট। হামিদও এ পথ অনুসরণ করে প্রচুর আগাম ড্রইং ও ‘মাকেট’ তৈরি করেছেন তাঁর বড় মাপের ভাস্কর্য গড়ার পূর্বপ্রস্তুতিতে।

কিন্তু এবার হামিদ নিত্যদিনের জীবনযাপনকে সচিত্র দিনলিপির মতো করে প্রকাশ করেছেন। এই চিত্ররচনার দৃষ্টান্ত শিল্পীজীবনে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি পর্ব। এই ভাস্কর ও চিত্রকরকে আমি পঁয়ত্রিশ বছর ধরে অনুসরণ করছি। তাঁকে নিয়ে বেশ কয়েকবার লিখেছি। নিরঙ্কুশ গড়নের মাহাত্ম্য হামিদের ভাস্কর্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য। তাঁর এই বিশেষ লক্ষণাক্রান্ত ভাস্কর্য মিনিমালিজমের আদর্শের অনুসারী। গড়নগুলো তাঁর প্রাণময়। ককুসির ভাস্কর্যের সঙ্গে তাঁর ভাস্কর্যের সাদৃশ্য আছে। তবে হামিদের ভাস্কর্যে জ্যামিতির বিন্যাস একান্তভাবে তাঁরই। তাঁর ভাস্কর্য বিষয়ে লিখতে গিয়ে মিনিমালিজমের বাংলা করেছিলাম ‘অল্পায়ন’। এবার হামিদ যে সচিত্র জার্নাল বা দিনযাপনের চিত্রল অ্যালবাম তৈরি করলেন তার অন্তরালে রয়েছে শিল্পীর স্নেহধন্য, সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ভক্ত ও সংগ্রাহক হারুন ফকির নামে শিল্পপ্রেমী এক তরুণ। শিল্পী তো স্বতঃস্ফূর্ত আবেগেই আঁকেন, তবু কোনো মানুষের সঙ্গে বিশেষ সংযোগে সেই সৃজনের আবেগ বিশেষ গতিবেগ পেয়ে যায়। হামিদুজ্জামানের মন হারুন ফকিরের সঙ্গে স্নেহের সান্নিধ্যে যুক্ত হওয়ায় এসব রেখাচিত্রে আমরা শিল্পীর ইতিবোধের উৎসব দেখতে পাই। নারীমুখ, পুরুষমুখ, সমবেত মানুষ, নদীপথে নৌকা, নগরের দরদালান, যানবাহন, জগৎসংসারের বিচিত্র বিষয় এঁকেছেন হামিদ। এই ছবিগুলোকে জলরঙের চিত্রকর হামিদ পরিচয়ে অথবা ভাস্কর হামিদের অবসরযাপনের আঁকিঝুঁকি হিসেবে আখ্যা দেওয়া যাবে না। পর্যবেক্ষণশীল চোখে ছবিগুলো দেখে আমার মনে হয়েছে, হামিদুজ্জামান খানের চিত্রকরসত্তা এখানে নতুন জন্ম লাভ করেছে। হারুন ফকিরের ভক্তি-আকুল মনকে শিল্পী বিশেষ মূল্যবোধে বিবেচনা না করলে এ ছবিগুলোর জন্ম হতো না – এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। সব শিল্পী নন, কোনো কোনো শিল্পী সর্বাবস্থা ও পরিস্থিতির মধ্যে ছবি আঁকতে পারেন। সৃজনকর্মে দ্রুত নিজেকে ডুবিয়ে দিতে পারেন চারপাশের কোলাহলকে উপেক্ষা করে। অথবা কোলাহলে মনঃসংযোগ করেই সেই জীবনের কল্লোলকেই শিল্পরূপ দেন। কোলাহল ও নৈঃশব্দ্য, উভয় পরিধির মধ্যে অবিশ্রাম ছবি এঁকেছেন শিল্পগুরু কামরুল হাসান। বৈশাখী মেলা, জনসভা – এসব আয়োজনের মধ্যে বসে এগুলোই বিষয় করে ছবি এঁকেছেন এই গুরুশিল্পী। হামিদুজ্জামানের কাজের প্রক্রিয়ার সঙ্গে কামরুল হাসানের এই সূত্রে মিল আছে। কামরুল প্রচুর মানুষের মুখ এঁকেছেন, আবার সভা-সমাবেশের অর্থাৎ অনেক মানুষের মিতালির দৃশ্যও রূপায়ণ করেছেন কলমের দ্রুতচালের রেখায়। হামিদের মধ্যেও এই শক্তি বিশেষভাবে লক্ষ করা যায়। কলম যেন কোনো মন্ত্রবলে স্বয়ংচালে ছবি এঁকে চলেছে অস্বাভাবিক গতিতে – এই অনুভবে মর্মরিত হামিদের এসব রেখাচিত্র। এই যে অবিরাম অবিশ্রাম আঁকার শক্তি এবং কোনো বিশেষ আয়োজন ছাড়াই মনকে ধ্যানস্থ করে যেকোনো পরিবেশে আঁকতে পারার শৈল্পিক ক্ষমতা তার তুলনারহিত দৃষ্টান্ত পাবলো পিকাসো। ষাঁড়ের লড়াই দেখছে, নাপিতকে দিয়ে চুল কাটাচ্ছে, একটুকরো রুটি মুখে পুড়ে দিয়ে ছবি আঁকতে আঁকতে খাওয়াদাওয়া শেষ করছেন – এমনিভাবে জীবন ও সৃজন পরস্পরিত করে পিকাসো বেঁচে ছিলেন কাঙ্ক্ষিত আয়ুষ্কাল।

একাকী একটি মানুষের মুখ রেখার জালজালিকায় কত কথা বলে। একটি দীঘলগ্রীব নারীমুখ ফুলের মতো অমল অভিব্যক্তিতে উত্থিত হয়ে থাকে। আবার দুটি বীজপত্রের মতো গড়ন পৃথিবীর আলোর তৃষ্ণায় রেখার প্রান্তে উজিয়ে আসে। মানুষের সবই জীবনের উজানি প্রকাশ। মানুষের মুখ আর বীজের উদ্দ্গিরণ উভয়েই বস্তুত আলোকিত স্পেসে উপস্থিত হতে চায়। এই সব জীবনের বেগ ও আবেগ বিশেষ ভাষা পেয়েছে হামিদের রেখাধর্মী শিল্পে। ভাস্করসত্তাকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে ছবি আঁকা যায় না, আবার জন্মসাথি চিত্রকরসত্তাও মন থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় না, এই দুই সত্তার দোলাচল আছে হামিদুজ্জামানের বেশ কয়েকটি কাজে। বৃক্ষ মানুষের মতো হতে চায়, মানুষি দেহও সাযুজ্য খোঁজে বৃক্ষের; বস্তুত দুপক্ষই তো প্রকৃতি। নিসর্গ ও মানুষের মধ্যে কোনো ঐক্যসূত্র খুঁজেছেন হামিদুজ্জামান। পরিণামে ভাস্কর-চিত্রকর এই শিল্পী মানুষের দেহ ও বৃক্ষের মধ্যে সমীকরণ টেনেছেন। এই সমাধান টানা শিল্পীর জন্য অনিবার্য ছিল। কারণ, সৃজনের ঘোরে এক রক্তই তো হৃদয় ও মস্তিষ্কে বিশেষ গতিবেগ পায়।

এই পর্বেও কাজে কখনো বিশেষভাবে স্বরাট হামিদের ভাস্করসত্তা। দৃঢ় রেখায় আঁকা যেসব কাঠামো পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধনে মানুষের দেহজ শক্তির দৃষ্টান্ত হয়েছে, তাতে ভাস্কর্যসুলভ বৈশিষ্ট্যই অগ্রগামী। একজন ভাস্কর ছাড়া অন্য কোনো দ্বিতল পটের চিত্রকর এ ছবি আঁকবেন না, এই প্রতীতিতে আমরা আস্থাশীল হয়ে পড়ি।

কখনো মৃদু ঊর্মিমুখর নদী, নদীপারে বালুচরের ঝিকমিক, কখনো একটি মানুষের টান টান শিরদাঁড়ায় উপবিষ্ট, কখনোবা অনেক মানুষের কর্মমুখরতা, কখনো আবার স্থাপত্যের গড়নের পারস্পরিক সংযোগ ফর্মেও অর্কেস্ট্রা জমিয়ে তোলে। কোথাও স্থিরতা নেই, সময়ে সমর্পিত বলে চঞ্চল। সেই মুখেও লেগে আছে সময়ের নুন।

হামিদুজ্জামানের শিল্পসৃষ্টির অভিযাত্রার প্রধান গন্তব্য পরিশ্রুত গড়নের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। এ বৈশিষ্ট্য ছাড়া এই বহুপ্রজ সৃজনশীল প্রতিভার মর্ম অনুধাবন সম্ভব নয়। একক কোনো ফর্ম না হলেও একই রূপের অনুষঙ্গের সমাবেশ দর্শককে ফর্মের ছন্দ পাঠ করান তিনি। শাখা-প্রশাখাময় ও পত্রপল্লবে আচ্ছাদিত একটি গাছে কিংবা কল্লোলিত নদীজলে তো আমরা ফর্ম দেখি এবং কান দিয়ে শুনি ফর্ম বা রূপবন্ধের সংগীতে।

মুখরিত, উত্থিত, স্তম্ভমান; কিন্তু কোথাও প্রাণহীন জড়তার ইশারা নেই হামিদের কাজে। রবীন্দ্রনাথ ভ্রমণ করতে করতে অনেক বিষয়, যা কবির মনে বিশেষ নাড়া দিয়েছে, তা-ই লিখে রাখতেন। তারপর এই সব লেখা নিয়ে ‘পথের সঞ্চয়’ নামে বই লিখলেন। হামিদের এই চিত্রমালারও নাম হতে পারে ‘পথের সঞ্চয়’। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে নানা আনুষ্ঠানিকতায় বন্ধুত্বে জড়িয়েছেন কিংবা আলাপ-পরিচয় হয়েছে, তাঁদেরও শিল্পী এঁকেছেন। কোনো কোনো নারীমুখে ছায়াপাত করেছে শিল্পীর জীবনসঙ্গী ভাস্কর আইভি জামানের মুখাবয়ব।

তবে অনেকবার এঁকেছেন তাঁর ভক্ত হারুন ফকিরের মুখাবয়ব। মুখোমুখি, পার্শ্বিক বা প্রোফাইলিক – নানাভাবে এই স্নেহের মুখ এঁকেছেন শিল্পী। কিন্তু কম রেখার আঁচড়ের নিরীক্ষায় শনাক্ত করা যায় অবয়বের স্বাতন্ত্র্য। তা আমরা দেখতে পাই হারুনের পোর্ট্রেট বা অবয়বে। ওই মুখ নিরীক্ষণ করে হামিদুজ্জামান খান আবার মিনিমালিস্ট আদর্শের অনুসারী হয়েছেন। খুব বেশি রংরেখার প্রয়োগের প্রয়োজন নেই কারও মুখের বৈশিষ্ট্য শিল্পিতভাবে শনাক্ত করার জন্য। কয়েকটি রেখার জোরেই চিহ্নিত হয়েছে ভক্ত হারুন ফকিরের মুখের স্বাতন্ত্র্য ও মনের রূপ ভাস্কর ও চিত্রকর হামিদুজ্জামানের ছবির জমিনে।

দিনযাপন সচিত্রকরণের এই চিন্তাশীল ভাবনার কারণে হামিদুজ্জামানের চিত্রচর্চায় একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। এই চিত্রমালায় শিল্পীর কল্পনা ও সৃজনক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সত্য ঘটনা। এই সব শিল্পের রসদ বাস্তব জীবন থেকে সংগৃহীত। তাই একে বলা যায় হামিদুজ্জামানের জীবনের অনেক বছরের শিল্পসম্মত ডকুমেন্টারি। তথ্যচিত্রের সত্যও সংযুক্ত আছে এই আয়োজনে। সাদার বিপরীতে কালোয় আঁকা বলে সেই সত্য স্বচ্ছ-সংবেদী মানুষের জন্য সহজ পাঠ্য।

সূত্র : রেখাচিত্র হামিদুজ্জামান খানের দিনলিপি, গ্যালারি পরিবার, ঢাকা, ২০২৫।

    Leave feedback about this

    • Rating

    PROS

    +
    Add Field

    CONS

    +
    Add Field