Site icon তীরন্দাজ

কান ও আরববিশ্বের নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র | তানজিদা ইসরাত জাহান ঋতু | কান উৎসব

Gaza Cannes

কান উৎসব

গত ১৩ মে শুরু হয়েছে রূপালি পর্দার সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। ফ্রান্সের বিখ্যাত উপকূলীয় শহর কানে ১২ দিন ধরে চলবে এই উৎসব। এই কদিন উৎসবটি হয়ে থাকবে বিশ্ব চলচ্চিত্র অঙ্গনের কেন্দ্রবিন্দু। এখানে ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছেন বিশ্বের খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা-অভিনেত্রী ও সমালোচকেরা। বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এই আসরে আরব বিশ্বের কয়েকজন সাহসী ও প্রতিভাবান নির্মাতাও অংশগ্রহণ করছেন।

বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক বিভাগে তাঁদের পাঁচটি চলচ্চিত্র স্থান করে নিয়েছে। এই চলচ্চিত্রগুলো হলো Aisha Can’t Fly Anymore, Once Upon a Time in Gaza, Sky Without Land, The Mesh, The Republic

শুধু সংখ্যাগত বিচারে নয়, আরববিশ্বের বহু চলচ্চিত্র প্রশংসিত হয়েছে তাদের বিষয়বস্তু, শিল্পনির্মাণ, সমাজিক প্রেক্ষাপট এবং রাজনৈতিক সাহসিকতার জন্যও। তাদের চলচ্চিত্রে উত্তরণ ঘটেছে নানান সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় গোঁড়ামির প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে।

আরববিশ্বের চলচ্চিত্রের ইতিহাস গড়ে ওঠে মূলত জাতীয়তাবাদ, ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার এবং শাসকগোষ্ঠীর প্রভাবকে কেন্দ্র করে। ১৯৫০–৭০-এর দশকে মিশর, সিরিয়া, আলজেরিয়া ও লেবাননের চলচ্চিত্র অনেকটা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছিল; যেখানে সাধারণত প্রাধান্য পেয়েছে সামরিক সংগ্রাম ও রাষ্ট্রীয় পরিচয়ের গল্প। কিন্তু এই রাষ্ট্রনির্ভর চলচ্চিত্রে ব্যক্তিগত মতপ্রকাশ, বিশেষ করে নারীর অভিজ্ঞতা ও সংবেদন প্রায় অনুপস্থিত ছিল। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক সেন্সরশিপ, অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং সাংস্কৃতিক রক্ষণশীলতা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে আরও সংকীর্ণ করে। অনেক নির্মাতাকে শাসক ও ধর্মান্ধ শ্রেণির শ্যেনদৃষ্টিতে পড়ে ভিন্ন দেশে আশ্রয় নিতে হয়। কেউ কেউ আত্মপ্রকাশের সুযোগ এবং আনুকূল্যের অভাবে চুপসে যান। এসব সত্ত্বেও, প্রতিকূলতার মাঝে উঠে আসে এক নতুন প্রজন্ম – যারা শিল্পকে করে তোলে প্রতিবাদের ভাষা, আর সেই ভাষা ব্যবহার করে তারা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন অসাম্যের কথা, শাসক শ্রেণির অবদমন ও অন্যায্যের। প্রশ্ন করতে শুরু করেন প্রথাচারিতা ও ধর্মীয় গোঁড়ামি সম্পর্কে।


আরবের ধর্মীয় রক্ষণশীল আবহে সংস্কৃতিচর্চা বিভিন্ন স্তরে বহুদিন নিয়ন্ত্রিত ও সীমিত ছিল। একসময় চলচ্চিত্রের পর্দায় নারীর উপস্থিতি ঘটলেও তা ছিল পুরুষ আধিপত্যের আবহে সীমিত। এই কাঠামো ভেঙে দিয়েছেন কিছু সাহসী নারীনির্মাতা ও শিল্পী, যারা ক্যামেরার পেছনে দাঁড়িয়ে প্রকাশ করেছেন নিজেদের মত। এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবেও সেসব নারী চলচ্চিত্রকারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাবে।

সৌদি আরবের প্রথম নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটিয়ে হায়ফা আল-মানসুর হয়ে উঠেছিলেন পরিবর্তনের প্রতীক। ২০১২ সালে নির্মিত তাঁর চলচ্চিত্র “Wadjda” সৌদি আরবে একজন নারীর দ্বারা পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ফিচার ফিল্ম। সিনেমাটির নির্মাণকালে হায়ফাকে অনেকসময় ভ্যানে বসে ওয়াকি-টকির মাধ্যমে কাজ করতে হয়েছে, রাস্তায় পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে কাজ করায় নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে।
এই সিনেমাটি শুধু সৌদি সমাজে নয়, গোটা বিশ্বে আলোড়ন তোলে। এটি কান, ভেনিস ও টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হয় এবং সৌদি আরবের প্রথম অস্কার এনট্রি হিসেবে ইতিহাস গড়ে।

আজকের দিনে আরব বিশ্বের যেসব নারী নির্মাতা বিশ্বমঞ্চে প্রশংসিত হচ্ছেন তাঁরা কেবলই চলচ্চিত্রকার নন, তাঁরা আরব সমাজ-রাজনীতির ব্যতিক্রমী ভাষ্যকার।

আসমা এল-মৌদির (Asmae El Moudir):

মরক্কোর তরুণ নির্মাতা এল-মৌদির তাঁর The Mother of All Lies সিনেমায় ব্যক্তিগত পারিবারিক মিথ্যা ও রাষ্ট্রীয় ঐতিহাসিক মিথ্যার মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। ছবিটি কান ২০২৩ উৎসবে Un Certain Regard” বিভাগে পুরস্কৃত হয়। এ থেকে বোঝা যায়, আরববিশ্বের ইতিহাস ও স্মৃতির পুনর্পাঠ নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে কিভাবে নতুন মাত্রা পেতে পারে।

কাওথার বেন হানিয়া (Kaouther Ben Hania)

তিউনিসিয়ার এই নির্মাতা Beauty and the Dogs (২০১৭) ও Four Daughters (২০২3) দিয়ে নারীর অধিকার, সহিংসতা, পরিবার ও আত্মপরিচয়ের প্রশ্নগুলো অনুপম সাহসের সঙ্গে তুলে ধরেছেন। তাঁর চলচ্চিত্র অস্কারে মনোনয়ন পাওয়ার পাশাপাশি Cannes, Berlinale-এর মতো উৎসবে প্রশংসিত হয়েছে।

নাদিন লাবাকি (Nadine Labaki)

লেবাননের নাদিন লাবাকি Caramel (২০০৭) ও Capernaum (২০১৮)-এর মতো চলচ্চিত্র দিয়ে নারীর দৈনন্দিন বাস্তবতা এবং শিশুর দৃষ্টিতে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার ছবি এঁকেছেন। Capernaum কান উৎসবে জুরি প্রাইজ পায় এবং অস্কারে Best International Feature Film বিভাগে মনোনীত হয়।

আন্নেমারি জাসির (Annemarie Jacir):

ফিলিস্তিনি এই নির্মাতা তাঁর When I Saw You, Wajib সিনেমায় যেভাবে প্রবাস, পরিচয়, এবং প্রতিরোধের অনুভবকে নারীর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে ব্যক্ত করেছেন তা তাকে ফিলিস্তিনি চলচ্চিত্রের অন্যতম গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

কান চলচ্চিত্র উৎসব দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপীয় সিনেমার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও গত দুই দশকে এটি হয়ে উঠেছে গ্লোবাল সাউথের শিল্পীদের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। আরব বিশ্ব থেকে নির্বাচিত সিনেমাগুলোর সংখ্যা সীমিত হলেও, প্রতিটিই ছিল আলোচিত, বিতর্কিত ও ভিন্নস্বাদের।

Aisha Can’t Fly Anymore

মুরাদ মুস্তাফার পরিচালিত এই মিশরীয় চলচ্চিত্রটি তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সৌদি প্রযোজক ফয়সাল বোলার সহ-প্রযোজনায় নির্মিত। এটি মুস্তাফার দ্বিতীয় কান অংশগ্রহণ, এর আগে তার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র Issa ৭৬তম আসরে প্রশংসিত হয়েছিল। সিনেমাটি আরবের রক্ষণশীল সমাজে নারীর ব্যক্তিত্ব ও স্বাধীনতার টানাপোড়েনকে সূক্ষ্ম অথচ গভীরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মুস্তাফা যে মনস্তাত্ত্বিক সূক্ষ্মতা, নীরব প্রতিরোধ ও ভিজ্যুয়াল কাব্যিকতার মিশেল ঘটিয়েছেন, তা তাঁর নির্মাতা পরিচয়ের এক নতুন মাত্রা উন্মোচন করে। সিনেমাটি আয়েশা নামের এক তরুণীর কণ্ঠরুদ্ধ জীবনের মধ্য দিয়ে বৃহত্তর আরব সমাজে নারীর অস্তিত্বসংকট, চেতনাগত ক্লান্তি এবং নিজের জীবনের উপর অধিকার ফিরে পাওয়ার যন্ত্রণাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত।
চলচ্চিত্রটি কেবল রাজনৈতিক বা সামাজিক ভাষ্য নয়, এটি এক গভীর মানবিক বয়ান; যেখানে প্রতিটি চাহনি, নীরবতা এবং মুহূর্ত একরকম কবিতার মতো হৃদয়ে অভিঘাত তোলে।

Once Upon a Time in Gaza

ফিলিস্তিনি পরিচালক যুগল আরব ও তারজান নাসেরের এই সিনেমাটি এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবে এক অন্তরালজাগানিয়া গভীর রাজনৈতিক বয়ানের উজ্জ্বল নিদর্শন হয়ে থাকবে। গাজা সংকটের পটভূমিতে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি শুধু যুদ্ধ বা সংঘাতের নগ্ন বাস্তবতাকে দেখায় না, বরং এক ভেঙে পড়া সমাজের ভেতর থেকে উঠে আসা স্বপ্ন, স্মৃতি ও ভালোবাসার আবছা চিত্রমালা রচনার চেষ্টা আছে এতে।
ছবিটির বর্ণনাভঙ্গি একাধারে কাব্যিক ও নির্মম। আরব ও তারজান, তাঁরা আগেও Dégradé (Cannes, 2015) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি বাস্তবতা নিয়ে আন্তর্জান্তিক মহলে সাড়া ফেলেছিলেন। এবার আরও পরিণত এবং ব্যক্তিগত এক চলচ্চিত্র উপহার দিতে চলেছেন তাঁরা। Once Upon a Time in Gaza মূলত মানবিকতার ধ্বংসাবশেষের মাঝে বেঁচে থাকা মানুষের গল্প; যেখানে আশ্রয়হীনতা, অস্থিরতা এবং অস্তিত্বের সংকটে রচিত হয় এক gripping narrative, যা দর্শককে ধরে রাখে শুরু থেকে শেষ দৃশ্য পর্যন্ত।

Sky Without Land

তিউনিসিয়ার পরিচালক আরিজ আল-সাহিরির প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র Sky Without Land অভিবাসন ও নারীত্বের থিম নিয়ে অনন্য তিউনিসীয় প্রেক্ষাপটে নির্মিত।
অভিবাসন ও নারীত্বের জটিল ছায়ার নিচে দাঁড়িয়ে এই চলচ্চিত্রটি তুলে ধরে তিউনিসিয়ার এক বিশেষ সামাজিক বাস্তবতা, যেখানে সীমান্ত কেবল ভৌগোলিক নয় বরং মানসিক, সাংস্কৃতিক ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের প্রতীক হয়ে ওঠে।
ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্র এক তরুণী যে নিজের পরিচয়, শরীর এবং ভবিষ্যতের প্রশ্নে এক দ্বন্দ্বময় যাত্রায় পা রাখে। সাহিরি এখানে একটি অনন্য নারীকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নির্মাণ করেছেন। এই দৃষ্টিভঙ্গি একাধারে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত।

The Mesh

ফরাসি-তিউনিসিয়ান পরিচালক হাফসিয়া হারজির নতুন চলচ্চিত্র The Mesh এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়ে বহু আলোচিত এবং প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র হয়ে উঠেছে। একজন অভিনেত্রী হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জনের পর হারজি এবার নির্মাতা হিসেবে নিজের কণ্ঠস্বর নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন এক সাহসী ও আন্তরিক বয়ানে।
The Mesh এমন এক সমাজবাস্তবতায় নির্মিত, যেখানে ব্যক্তি ও কাঠামোর সংঘর্ষ ক্রমশ জটিল হয়ে ওঠে। এই চলচ্চিত্রটি এক নারীর অভ্যন্তরীণ ও বহিঃর্বিশ্বের জটিলতাকে কেন্দ্র করে নির্মিত, যেখানে জাল (mesh) শুধু বাইরের সমাজের নয়, বরং মানসিক, পারিবারিক এবং রাজনৈতিক অদৃশ্য বাঁধনগুলোর প্রতীক। এটি একাধারে নারীত্ব, আত্মপরিচয় এবং প্রজন্মগত সংকটের অনুপম চিত্র। শক্তিশালী অভিনয়, সূক্ষ্ম সংলাপ ও বহুমাত্রিক বর্ণনাভঙ্গি একে এবারের কানের অন্যতম আলোচিত নারীকেন্দ্রিক চলচ্চিত্রে পরিণত করেছে।

The Republic

সুইডিশ-মিশরীয় পরিচালক তারিক সালেহ উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে ফিরেছেন তাঁর নতুন চলচ্চিত্র The Republic নিয়ে। এটি একটি রাজনৈতিক, প্ররোচনামূলক ও প্রথাগত ন্যারেটিভের সীমা ভেঙে দেওয়া গল্প, যা দর্শককে চ্যালেঞ্জ জানায় এবং ভাবতে বাধ্য করে। সালেহ, যিনি Boy from Heaven (কান চলচ্চিত্র উৎসব-২০২২) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যীয় ক্ষমতা কাঠামোর ভেতরকার রহস্যময় জগৎ তুলে ধরেছিলেন, এবার আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন আরও তীক্ষ্ণ ও বুদ্ধিবৃত্তিক ভাষ্য নিয়ে।
The Republic এমন এক সমাজব্যবস্থার মুখোমুখি দাঁড় করায়, যেখানে সত্য ও ক্ষমতার মধ্যে পার্থক্য ক্রমশ অস্পষ্ট হয়ে যায়। গল্পটি আবর্তিত হয় একটি কাল্পনিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে, যেখানে রাষ্ট্রীয় প্রচারণা, ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং নৈতিক জটিলতা একে অপরকে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন করে। সালেহ এখানে একটি রাজনৈতিক থ্রিলারের ছাঁচে তৈরি করলেও চলচ্চিত্রটি আসলে নৈতিকতার এক অন্তরঙ্গ অনুসন্ধান।


কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৮তম আসরে আরব বিশ্বের নির্মাতাদের এই উজ্জ্বল উপস্থিতি শুধু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক পালাবদলের ঘোষণাও; যেখানে রাজনৈতিক নিপীড়ন, সামাজিক গোঁড়ামি এবং প্রথাগত নীরবতার দেয়াল পেরিয়ে আরব চলচ্চিত্র এক নতুন ভাষা খুঁজে নিচ্ছে। সেই ভাষা সাহসের, সংবেদনশীলতার ও শিল্পসচেতনতার। নারী নির্মাতাদের চোখ দিয়ে সমাজকে দেখার এই নতুন ভঙ্গি শুধু আরব নয়, বিশ্বের সকল দর্শকের কাছেই এক প্রগাঢ় মানবিক ও রাজনৈতিক বার্তা দেয়। এবারের নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেবে চলচ্চিত্র কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, মানুষের অন্তর্জগতের অনুবাদক, যেখানে মানবিক আবেগ, স্বপ্ন ও সংগ্রামের কাহিনি বর্ণিত হয়। একই সঙ্গে তা প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ভাষা।

Exit mobile version