তীরন্দাজ

চিন্তার এনকাউন্টার | ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী | বইপত্র

আশীষ লাহিড়ীর বই আমি অনেকদিন ধরে পড়ছি, তাঁকে অনুসরণ করছি। নিয়মিত অনুসন্ধান শুরু হয় জে ডি বার্নালের ‘ইতিহাসে বিজ্ঞান’ নামের বৃহৎ গ্রন্থখানির অনুবাদ থেকে। বার্নালের বইটার প্রথম খণ্ড আমি ইংরেজিতে আগেই পড়েছি। কিন্তু হঠাৎ চোখ আটকে গেল এর একটি সুবৃহৎ একক খণ্ডের বাংলা অনুবাদ দেখে। বার্নালের দর্শনাশ্রয়ী বিজ্ঞানের পূর্বাপর ঐতিহাসিক বিবরণ পাঠককে চমৎকৃত করে। তিনি গভীরভাবে সমাজকাঠামো নিয়ে ভেবেছেন, সামাজিক প্রক্রিয়াকে অনুসরণ করে বিজ্ঞানের প্রক্রিয়াকে বোঝার চেষ্টা করেছেন। বিজ্ঞানীর কাজকে কালের পারম্পর্যে স্থাপন করেছেন। এই জটিল কাজের অনুবাদ যে সম্ভব, সেটা ভেবেই আমি মুগ্ধ হয়েছি। তবে আশীষ লাহিড়ীর নাম যে এই প্রথম শুনলাম, তা নয়। উৎস মানুষ পত্রিকার বিচ্ছিন্ন দুয়েকটি সংখ্যায়, অন্যান্য পাক্ষিকে বা হয়ত ‘দেশ’ পত্রিকাতেও ওঁর লেখা পড়েছি। কিন্তু বই হিসেবে ওঁকে পাঠ করা শুরু করি বার্নালের অনুবাদ থেকেই। তবে তাঁর যে-বইটি আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে, সেটি হল ‘বিজ্ঞানের দর্শন ও কার্ল পপার’ বইটি। এছাড়া তিনি লিখেছেন ‘সংস্কৃতির বাংলাবাজার’, ‘অন্য কোনো সাধনার ফল’, ‘ভগবানের হারানো লেত্তি’, ‘অক্ষয়কুমার দত্ত : আঁধার রাতে একলা পথিক’, ‘অবিরত দ্বৈরথে বিজ্ঞান’ (দুই খণ্ডে) ইত্যাদি তাঁর বিখ্যাত বই। অনুবাদ করেছেন অনেক বিখ্যাত বইও। অভিধান সংকলন করেছেন গৌরীপ্রসাদ ঘোষের নেতৃত্বে। পুরস্কৃত হয়েছেন আনন্দ, রবীন্দ্র এবং বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের নানা পুরস্কারে। ১৯৪৮ সালে জন্ম আশীষ বাবুর নানান ইনস্টিটিউটের সঙ্গেও গাঁটছড়া আছে।


আশীষ লাহিড়ীর বই এবং লেখার সবচেয়ে বড় গুণ, তিনি লেখার শুরুতেই ‘দু-চারটে চড়-থাপ্পড় মেরে’ শুরু করেন। সপাটে বক্তব্য প্রকাশ, চাছাছোলা ভাষায় চিন্তার গোড়ায় আক্রমণ – এসব যেকোনো চিন্তাশীল পাঠককে ভাবতে বাধ্য করে, বলে ‘ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস করো।’ অতএব, ড. মাসুদ আলমের মাধ্যমে যখন জানতে পারলাম এহেন আশীষ লাহিড়ীর সাক্ষাৎকারের একটি সংকলন বেরিয়েছে, এবং ঢাকার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, তাৎক্ষণিকভাবে ফোন করে বইটি হস্তগত করে ফেলি। কিন্তু পড়ে শেষ করতে সময় লেগে গেল।
বইটির নামও ঐ চড়-থাপ্পড়ের মত – ‘এনকাউন্টার’। অর্থাৎ এই এনকাউন্টারের পর কে বেঁচে ফিরবে – লেখক, পাঠক না সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী; ঈশ্বর-মালুম! চিন্তার এই সবিশেষ এনকাউন্টার কয়েকটি ভাগে বিভক্ত – বিজ্ঞান ও সাহিত্যের দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে, বাংলায় বিজ্ঞান প্রসঙ্গে, অনুবাদ প্রসঙ্গে, ছদ্মবিজ্ঞান নিয়ে, বিবেকানন্দ ও রবীন্দ্রনাথ নিয়ে এবং বুদ্ধিজীবিতা প্রসঙ্গে।


প্রথম ভাগে আমরা আশীষ লাহিড়ীর বড় হয়ে ওঠার বিবিধ সামাজিক ও কালিক ব্যাপার জানতে পারি। ওই সময়ে ওই পরিবেশে কী ঘটত, কীভাবে তিনি বেড়ে ওঠেন, বাড়ির মুক্তচিন্তার পরিবেশ, মায়ের সান্নিধ্যে বিজ্ঞানমোদিতা, বার্নালের অনুবাদ, অন্যান্য খুচরো লেখালেখি – এসব গল্প এসেছে। আশীষ লাহিড়ীর চিন্তার একটা নজরকাড়া দিক হল, তিনি বহু অভিজ্ঞতা ও পাঠ ও প্রজ্ঞা থেকে কিছু ছোট ছোট বাক্য তুলে আনেন, অঙ্কের ফরমুলা মনে রাখার কৌশলের মতো, কিন্তু তাঁর বাক্যাংশগুলি বেশ তেজোঃদীপ্ত। যেমন বিভিন্ন ঘটনাচক্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে নানা প্রসঙ্গের অবতারণা করতে গিয়ে বলছেন, ‘আমার জীবনের সবই তো ঘটনাচক্রে হয়েছে।’ সম্ভবত সবার জীবনই ঘটনাচক্রের যোগজীকরণ, কিন্তু তিনি খুব রসিয়ে সেইসব চক্রাকার ঘটনার ঘনঘটা শোনাতে সক্ষম। যেমন মজার ব্যাপার হল, বার্নালের অনুবাদ করতে গিয়ে বিদ্যাচর্চার নানা দিক উঠে এলে, আশীষ লাহিড়ী খেই হারিয়ে ফেলতেন। গৌরীপ্রসাদ ঘোষের প্ররোচনায় তখন একটা এনসাইক্লোপিডিয়া কিনলেন, সেখান থেকে বিবিধ বিদ্যার সারাংশ নিজেরা পড়ে পড়ে বুঝে নিতেন, এই করতে গিয়ে তাঁরা অভিধানের কাজে নেমে পড়লেন। ইংরেজি থেকে বাংলা ডিকশনারি করে তাঁরা ২০০১ সালে ‘আনন্দ’ পুরস্কারও পেলেন। এ প্রসঙ্গে ভাষা-ভাবনায় প্রযুক্তি কীভাবে প্রভাব ফেলে, তার উদাহরণ দিতে গিয়ে আশীষ বাবু বলেছেন, ‘মোবাইলের চর্চাটা ফিনল্যান্ডে হচ্ছে, আর আমি ঢাকায় বসে সেটাকে মুঠোফোন বলব কি না ভাবছি। উই হ্যাভ নট বিন আ পার্ট অফ দ্য সায়েন্টিফিক কালচার।’

পরবর্তী প্রসঙ্গ হলো বাংলায় বিজ্ঞান চর্চাটা সম্ভব কি না। এ প্রসঙ্গে অনেক মূল্যবান আলোচনার ফাঁকে আশীষ লাহিড়ী বলেছেন, বিজ্ঞানচর্চা আর বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখি আলাদা জিনিস। এখানে ‘বিজ্ঞানচর্চা’ বলতে লেখক বৈজ্ঞানিক গবেষণা, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ ইত্যাদি কাঠামোগত বিজ্ঞানকাণ্ডকে বুঝিয়েছেন। বাবা তাঁকে বুঝিয়েছিলেন, ক্লাস এইট থেকে নাইনে ওঠার সময়ে সায়েন্সে ভাল নম্বর পাবার ব্যাপারটার একটা আলাদা হ্যাডম আছে, সেটা যেন তিনি বোঝেন। আশীষ বলছেন, ‘বিজ্ঞান আমাদের সাধারণ সংস্কৃতি মানে সিনেমা-থিয়েটার-গল্প-কবিতা থেকে আলাদা।’ তাঁর বক্তব্য, বিজ্ঞান ও সমাজকে পাশাপাশি পড়ালে, বা মিশিয়ে পড়ালে, আর বিজ্ঞানের নাক-উঁচুগিরিটা নিচুক্লাসে না-করলে হয়ত ভাষার সমস্যাটা দূর হতে পারে। আমাদের বক্তব্য কিছুটা আলাদা, বাংলায় যদি বিজ্ঞানের পঠন-পাঠন নিয়মিতভাবে উচ্চমাধ্যমিক ছাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়েও যেত, তাহলে ভাষার দূরত্বটা থাকত না, বিশেষ করে দেশে যেহেতু একাধিক মাধ্যম কাজ করছে। রবীন্দ্রনাথের কথা হলো, আমাদের পথে চলতেও হবে, আবার পথ বানাতেও হবে। ফলে, পরিভাষা অনেকটা শ্রুতিমাধুর্যের ওপরও নির্ভর করে। আশীষ লাহিড়ীর মতে আর্ট-কালচার আর বিজ্ঞানের তফাতটা আসলে কৃত্রিম, এটা প্র্যাকটিশনাররা বানিয়ে নিয়েছেন, নিজ নিজ গুরুত্ব প্রকাশের স্বার্থে।

অনুবাদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনেক ঘটনার পর আশীষ লাহিড়ী বলছেন, তিনি মূলত প্যারাগ্রাফ ধরে অনুবাদ করেন। পুরো প্যারাটা বা অনুচ্ছেদটা বা ভাবের একক আছে এমন বাক্যগুলোকে পড়ে তার অন্তর্নিহিত ভাবখানাকে তিনি অনুবাদে তুলে আনেন, লাইন ধরে ধরে অনুবাদের পক্ষপাতী তিনি নন, কেননা তাতে কৃত্রিমতার ভারে অনূদিত অংশ আর বোঝাই যাবে না সেখানে কী বলা হয়েছিল। তিনি বলছেন, ‘লুক ফর কালচারাল ইকুইভ্যালেন্ট, নট দ্য ওয়ার্ড ইকুইভ্যালেন্ট।’ শব্দ ধরে ধরে নয়, ভাব ধরে অনুবাদ করতে হবে। তাঁর মতে, ‘বিজ্ঞান বিষয়ক বইতে, যেখানে রাজনীতি আসছে, সমাজ আসছে, ইতিহাস আসছে, সেখানে কিন্তু ঐ প্রিন্সিপল অফ ইকুইভ্যালেন্স প্রয়োগ করার অনেক সুযোগ থাকছে।’ উদাহরণ হিসেবে তিনি একটি চমৎকার ঘটনার কথা লিখেছেন – জ্যাক লন্ডনের একটা বইয়ের শেষের দিকে বাইবেল থেকে একটা কোটেশান আছে – ‘দাই উইল বি ডান’, তোমার ইচ্ছা পূর্ণ হবে – এমন একটা অর্থ হয়। এর বাংলা করতে গিয়ে অনুবাদক রবীন্দ্রনাথ বসিয়ে দিয়েছেন, ‘তোমারি ইচ্ছা করো হে পূর্ণ আমারও জীবন মাঝে’। অনুবাদ হতে হবে এমন! অনুবাদ নিজেই একটা ক্রিয়েটিভ অভিজ্ঞতা!

ছদ্মবিজ্ঞান বা স্যুডোসায়েন্সের ক্ষেত্রে তিনি বলেছেন, ‘যে-জিনিস যত কম বোঝা যায় তত বেশি ইম্প্রেস করে লোককে।’ এর চেয়ে বেশি ছদ্মবিজ্ঞান সম্পর্কে আমাদের সময় নষ্ট না করে আশীষ লাহিড়ী কীভাবে ছদ্মের মুখোশ টেনে নামান সেটা নিজেই পড়ে নিন। বলে রাখি, ছদ্মবিজ্ঞানের বিরুদ্ধে আশীষ লাহিড়ীর যুদ্ধ আজকের নয়। তাঁর লেখার সাথে পরিচিতই হয়েছিলাম যতদূর মনে পড়ে প্রবীর ঘোষের লেখার সূত্রে। সিউডো কে , এ প্রশ্নের উত্তরে আশীষ লাহিড়ী বলছেন, ’একজন তথাকথিত আর্টিস্ট যদি তার আর্টটাকে কমার্শিয়াল প্রয়োজনে অসৎভাবে ব্যবহার করে তাহলে আমার কাছে সে সিউডো!’

স্বামী বিবেকানন্দ এবং রবীন্দ্রনাথ নিয়ে আশীষ লাহিড়ীর অনেক নিজস্ব বোঝাপড়া আছে। এঁদের তিনি শ্রদ্ধা করেন, কিন্তু মানুষ হিসেবে তাঁদের কিছু সীমাবদ্ধতা এবং কন্ট্রাডিকশন তাঁর চোখে পড়েছে। সেগুলো তিনি জোরালো ভাষায় উঠিয়ে এনেছেন তাঁর একাধিক বই ও প্রবন্ধে। সেসব নিয়ে সাক্ষাৎকারী বেশ কিছু প্রোভোকেটিভ প্রশ্ন করেছেন। রবীন্দ্রনাথের সাথে লড়তে লড়তে আশীষ লাহিড়ী বড় হয়েছেন। তিনি রবিরশ্মিতে মুহ্যমান। তিনি একসময় এই রবীন্দ্রবলয় থেকে সজোরে বেরুতে চাইলেন। তাঁর বের হবার তরিকা হলো সমালোচনামূলক বই লেখা। এজন্য চিন্তার বক্সিংয়ে রবীন্দ্রনাথ তাঁর ঘুষোঘুষির পার্টনার বলে তিনি ঘোষণা দিচ্ছেন। কার্ল মার্কসের একটি কথা আছে, ‘মেন মেক হিস্ট্রি দেমসেলভস, বাট দে ডু সো আন্ডার গিভেন সারকামস্টেন্সেস।’ এই ভূয়োদর্শন দিয়ে আশীষ লাহিড়ী রবীন্দ্রনাথের ফেনোমেনালিটিকে ব্যাখ্যা করেছেন। সত্যপ্রিয় পাল বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথকে বুঝতে হলে বিটুইন দ্য লাইন্স পড়তে হবে। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতটা বুঝতে হবে, রবীন্দ্রনাথের শ্রেণিচেতনা, তাঁর অবস্থান, সেই সময়কার রাজনৈতিক সমাজটিকেও আমলে নিতে হবে। ‘রবীন্দ্রনাথের ঘটনা, জালিয়ানওয়ালাবাগের কন্ট্রাডিকশন, মুসোলিনির সত্যি জানার পরও আবার শুধুমাত্র বিশ্বভারতীর বরাতের জন্য হাত পাতা’ ইত্যাদি ঘটনা বিশ্লেষণের মাধ্যমে রবি-ব্যক্তিত্বের আভরণ তিনি খুলতে চেয়েছেন। তাঁর মতে রবীন্দ্রনাথের কেন্দ্রীয় সরলতা হলো তিনি একজন কবি। এই মূল জিনিসকে কেন্দ্রে রেখে রবীন্দ্রনাথকে বুঝে নিতে হবে। আশীষ লাহিড়ী মনে করেন, রবীন্দ্রনাথের একজন সম্পাদক থাকলে এত এত রাবিশ লিখতে হতো না, লিখলেও প্রকাশের দরকার ছিল না। ঐ ঐশ্বর্যগুলি লেখার জন্য উনার ঐসব জঞ্জাল লিখতে হয়েছে, কিন্তু গৌরীপ্রসাদ ঘোষ মনে করতেন, সাকুল্যে তাঁর দুশটি কবিতা রেখে দেবার মতো!

আশীষ লাহিড়ী মানেই এমন সব ধাক্কা আর গুতোগুতি – চিন্তার, বিশ্বাসের, ভাবনার। ‘চিন্তা ভাঙে , চিন্তা গড়েও’, তিনি বলেন। এইভাবে চিন্তার এনকাউন্টার না করলে চিন্তা বিকশিত হয়না। তবু তাঁর কাছে বুদ্ধিজীবীর সংজ্ঞা গ্রামসির অর্গানিক সংজ্ঞাকেই অনুসরণ করে। তবে তিনি মতাদর্শ বা আইডিওলজির দিক দিয়ে কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন। জানিয়েছেন বুদ্ধিজীবীর আইডিওলজিকাল কমিটমেন্ট থাকা দরকার কি না; থাকলে সেটা ক্রিয়েটিভিটিকে নস্যাৎ করে দেয় কি না, ক্রিয়েটিভিটির দায় ঠিক কোথায় এবং কতখানি ইত্যাদি। মতাদর্শের দিন শেষ, এমনটি তিনি মানেন না। তাঁর মতে, মানুষের বুদ্ধিগত সচেতনতা যতদিন থাকবে ততদিন আইডিওলজি থাকবে। ফলে, যেকোনো সাধারণ মানুষ, যার চিন্তার দক্ষতা আছে, তিনিই বুদ্ধিজীবী। যিনি সাধারণ থেকে দূরে, যিনি জারগনের মুখোশে কিংবা বেড়াজালে নিজেকে অস্বচ্ছ করে রাখেন, কেবল তিনিই বুদ্ধিজীবী নন। আমাদের সামাজিক মাধ্যমে যেভাবে হাস্যরস করে বলা হয়, ‘ইংরেজিতে লিখেছেন তাহলে ঠিকই আছে’, একে তিনি এনকাউন্টার করেছেন।

ড. মাসুদ আলমকে কৃতজ্ঞতা তিনি এই এনকাউন্টারের সন্ধান দিয়েছিলেন। আপনিও পড়ুন। এমানসিপেটেড হন।

এনকাউন্টার : আশীষ লাহিড়ীর সাক্ষাৎকার সংকলন। আলাপচারিতা ও সম্পাদনা : রূপক বর্ধন রায়। প্রকাশক : তবুও প্রয়াস, কলকাতা, এপ্রিল ২০২৫। প্রচ্ছদ : স্বর্ণেন্দু ঘোষ।

Exit mobile version